আল জাজিরা টেলিভিশনের যাত্রা যেভাবে শুরু হয়েছিলো

৯০ এর দশকে সৌদি সরকার একটি আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন আরবি নিউজ চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে লক্ষ্যে সৌদি আরব ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির সাথে তাদের কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে একটি চুক্তি সম্পন্ন করে। এই কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন আরব ফিলিস্তিন।

সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় একজন ব্রিটিশ নাগরিককে। সেই ব্রিটিশ নাগরিক দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে সৌদি বাদশাহকে একটি শর্ত দেন। সেই শর্তটি হল, সৌদি রাজপরিবার এই টেলিভিশনের উপর কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ চালাতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, এই টেলিভিশনটাকে কোনো ভাবে রাজপরিবারের মুখপাত্র বানানো যাবে না। সৌদি রাজ পরিবার তার শর্ত মেনে নেয় এবং টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।




কার্যক্রম শুরু হওয়ার মাস তিনেকের মধ্যেই রাজপরিবার শর্ত ভঙ্গ করল। তারা এই চ্যানেলটিকে রাজপরিবারের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করল। ফলাফলস্বরূপ, সেই ব্রিটিশ সিইও সহ সমস্ত কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানরা একযোগে পদত্যাগ করল। আর এই সুযোগটাই গ্রহণ করলেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খালিফা আল থানি।

কাতারের আমির হামাদ আল থানি সেই ব্রিটিশ সিইওসহ সমস্ত টেকনিশিয়ানকে কাতারে আমন্ত্রণ জানালেন। এরপর ১৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করে আল জাজিরা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেন।

আল জাজিরা প্রতিষ্ঠার সময়েও সেই ব্রিটিশ সিইও একই শর্ত জুড়ে দেন। কাতারের আমির সেই শর্ত মেনে নেন এবং সংবিধানে আইন করে আল জাজিরার উপর কোনো ধরণের প্রভাব খাটানো বা নিয়ন্ত্রণ করবার ক্ষমতা রহিত করেন। যার প্রমাণস্বরূপ ২০০১ সালে আল জাজিরা ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার প্রচার করলে, আমেরিকা ভীষণ চটে যায়। ফলাফলস্বরূপ, আমেরিকা আল জাজিরা বন্ধ করার প্রস্তাব জানায়। কিন্তু কাতার সাংবিধানিক কারণ দেখিয়ে আমেরিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আল জাজিরা স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। আল জাজিরা তার কার্যক্রম দিয়ে বার বার প্রমাণ দিয়েছে, তারা সত্য ও সুন্দরের পক্ষে। আর এই সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে আল জাজিরা বারবার স্বৈরাচারদের রোষানলে পড়েছে। মিশরের স্বৈরশাসক সিসির কারাগারে আল জাজিরার তিন সাংবাদিক আজও কারারুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

আল জাজিরার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের স্বৈরাচারদের অপপ্রচার স্বত্বেও এটি আরবদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল। এই জনপ্রিয়তা এখন আরবগন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এই জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বজোড়া।

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে,
আল জাজিরা (আরবিالجزيرة‎‎ al-ǧazīrah, literally "The Island", abbreviating "The [Arabian] Peninsula"), এছাড়াও আলজাজিরা হিসাবে পরিচিত এবং জেএসসি (Jazeera Satellite Channel), হল আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক মালিকানাধীন এবং কাতারের দোহা সদর দফতর থেকে সম্প্রচারিত একটি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। প্রাথমিকভাবে এটি আরবি ভাষায় চালু হলেও বর্তমানে স্যাটেলাইট চ্যানেলটি টিভি চ্যানেল হিসেবে আল জাজিরা থেকে একাধিক ভাষায় ইন্টারনেট এবং বিশিষ্ট টিভি চ্যানেল সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রসারিত হচ্ছে। আল জাজিরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। আল জাজিরা কাতার সরকার মালিকানাধীন চ্যানেল।

আরবিতে, আল-জাজিরাহ আক্ষরিক অর্থে "দ্বীপ" বোঝায়। এখানে আরব উপদ্বীপকে বোঝান হয়েছে। যেটি شبه الجزيرة العربية সিব আল-জাজিরাহ, আল-আরাবিয়াহ, সংক্ষিপ্তভাবে الجزيرة العربية আল-জাজিরাহ আল-আরাবিয়া।

উদ্বোধন

আল জাজিরা স্যাটেলাইট চ্যানেলটি আরবি ভাষার টেলিভিশন স্টেশন এর সাথে অরবিট কমিউনিকেশন কোম্পানির একটি যৌথ উদ্যোগ ১৯৯৬ সালের ১লা নভেম্বর তারিখে চালু করা হয়েছিল।


লোগো



ওয়েবসাইটঃ https://www.aljazeera.com/






Next Post Previous Post
1 Comments
  • paterekiapac
    paterekiapac March 4, 2022 at 12:26 PM

    Casino Queen, Queens, NY - Mapyro
    Find 광양 출장안마 your favorite games in a casino 전라북도 출장안마 at Casino 동두천 출장마사지 Queen, Queens, NY. Nearby amenities such as 구리 출장마사지 a casino shuttle, live entertainment, 창원 출장안마 gaming,

Add Comment
comment url

Contact Form